
অনলাইন পিআর সার্ভিস এবং সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এসইও ব্লগ ও আর্টিকেল। বিভিন্ন কনটেন্ট ফ্যাক্টরিতে, প্রতি সপ্তাহে তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য অসংখ্য এসইও ব্লগ ও আর্টিকেল লেখা হয়। এসকল ব্লগ ও আর্টিকেল তাদের ওয়েব সাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। কোন ব্র্যান্ডের সম্ভাব্য গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল নির্দিষ্ট সাইটে নিয়মিত নতুন নতুন কনটেন্ট পোস্ট করা।
অবশ্য, আপনি এটা আশা করতে পারেন না যে একটি পেইজে ইচ্ছেমত কতগুলি শব্দ লিখে দিলেই, মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আসবে। প্রো এসইও আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিস (Pro SEO article writing services) এর প্রথম কথাই হল, আপনি কাজ করলে তার ফল অবশ্যই পাবেন- কিন্ত এটা শুধুমাত্র তখনই সম্ভব যখন আপনি তা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারবেন।
প্রফেশনাল এসইও আর্টিকেল লেখার ৭ টি রহস্য আপনাদের জন্য এখানে তুলে ধরা হল।–
১। শব্দ নিয়ে গবেষণা :
আপনি যখন আপনার সাইটে কোন কনটেন্ট পোস্ট করতে যাচ্ছেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন গুগল আপনার পোষ্টটি পর্যবেক্ষন করে। ইদানিং সবাই কোন ধরনের শব্দ বা ফ্রেজ/বাক্য ব্যবহার করছে সেগুলি খুঁজে বের করে তার একটি স্প্রেডশিট তৈরি করে ফেলতে হবে। এবং ট্র্যাক করে রাখতে হবে যে আপনি কোন শব্দটি কতবার আপনার ওয়েব কনটেন্টে ব্যাবহার করেছেন। শব্দ ট্র্যাক করার জন্য অবশ্যই একটি সঠিক টুল ব্যবহার করতে হবে। তার ফলে আপনি শব্দগুলিকে র্যাঙ্ক অনুযায়ী সাজাতে পারবেন।
২। শব্দগুলিকে কাজে লাগানো :
আপনার লেখায় কিওয়ার্ডগুলির ২-৩% ব্যবহার করাই যথেষ্ট নয়। ব্লগ/আর্টিকেলের শিরোনামে এবং লেখার প্রথম এবং শেষ লাইনে সহজ শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ। এর ফলে কিওয়ার্ডগুলি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার এবং পাঠকের চোখে পড়বে। মনে রাখবেন, মানুষ যখন কোন শব্দ খুঁজার জন্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে, তারমানে হল সে এই বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চায় বা কিনতে চায়। এজন্যই, তারা যা খুঁজছে তা তাদের দিতে হবে। যদি তা করতে পারেন তবেই আপনার সাইটে ক্লিকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। -এটি প্রফেশনাল এসইও আর্টিকেল রাইটারদের অন্যতম সফল বাণিজ্যিক ট্রিক।
৩। মানুষ জানতে চায় এমন কিছু লিখতে হবে:
আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আপনার চেয়ে ভালো কেউ জানে না- তাই ব্লগ বা আর্টিকেলে আপনি আপনার মতামত বা পরামর্শ দিয়ে আপনি সবাইকে সাহায্য করতে পারেন। তা না হলে, আপনার ব্যবসা সম্পর্কে কোন খবর আলোচনা করতে পারেন। যদি তারপরও কোন সন্দেহ হয় তবে, আপনার SEO কীওয়ার্ড এর লিস্টটি দেখে আপনি ধারনা করতে পারেন কোন ধরনের ব্লগ বা আর্টিকেল লিখবেন। প্রয়োজনে কোন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাতকারও নিতে পারেন (যদি আপনার লেখায় তাদের বক্তব্য এবং দক্ষতার ফিচার গুলি তুলে ধরেন,তবে এটি আশা করাই যায়, তারাও আপনার কনটেন্টগুলি তাদের সোশ্যাল চ্যানেলে পোস্ট করবে)। এভাবে আপনি বৃহত্তর নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে, আপনার পরিধি বাড়াতে পারেন।
৪। লেখাটিকে বড় করতে হবে:
এটি ঠিক যে কোন নতুন কনটেন্ট পোস্ট না করার চেয়ে, ১০০ শব্দের একটি ছোট কনটেন্ট পোস্ট করাও ভালো। কিন্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলি সাধারণত বড় ব্লগ/আর্টিকেলকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তাই, ৩০০ শব্দের আর্টিকেল লিখতে চেষ্টা করুন। কিন্ত যদি ৫০০ বা তার বেশি পারেন তাহলে আরও ভালো হয়। অনেক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, সার্চ ইঞ্জিনগুলি সাধারনত সেই সকল কনটেন্টগুলিকে মনোযোগের সাথে সমর্থন করে যেগুলিতে কমপক্ষে ২০০০ শব্দ রয়েছে। TCF এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগগুলি অন্তত ১৫০০ শব্দের হয়ে থাকে।
৫। ওয়েব কনটেন্টটি নিখুঁত হতে হবে:
আপনার ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন টুলস পাওয়া যায়। আপনি সেগুলির সুবিধা ভোগ করতে পারেন। কনটেন্ট ফ্যাক্টরিতে আপনি Yoast এবং Shareaholic ব্যবহার করে আপনার কনটেন্টকে আকর্ষণীয় করে ফেলতে পারেন। ‘‘ইন্সটল নাও’’ বাটন ক্লিক করার মতই সহজ এই সকল ফ্রি ওয়েব পিআর (web PR)।
৬। লেখাটি এডিট করতে হবে:
সাধারন মানুষ এবং একজন প্রফেশনাল এসইও আর্টিকেল রাইটারের একমাত্র পার্থক্য হল –নিজে সম্পাদনা করার দক্ষতা। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম যেমন OpenOffice, Google Docs এবং Microsoft Word এই কাজটি সহজ করে দিয়েছে। লেখাটি সুন্দরভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খুব দীর্ঘ প্যারা গ্রাফ বা বাক্য রচনা থেকে দুরে থাকতে হবে। কেননা এটি কনটেন্টকে জটিল করে দেয়।
৭। নিজেই অনলাইন পিআর এজেন্ট হয়ে উঠতে হবে:
নতুন কনটেন্ট লিখে, পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার অর্ধেক কাজ শেষ হয়। এরপর এই কনটেন্টকে সবার দৃষ্টিগোচরে আনতে হবে। সকল ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং এর শেষ স্টেপই হল- নিজেই নিজের অনলাইন মার্কেটার বা এজেন্ট হিসেবে কাজ করা। আপনার কনটেন্টের লিঙ্ক সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, কমেন্ট করতে হবে, Digg, Reddit এবং StumbleUpon এর মত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কনটেন্ট জমা দিতে হবে। গুগল সার্চের মাধ্যমে এই কনটেন্টকে যত দেখা হবে, সামগ্রিকভাবে এর র্যাঙ্ক তত বাড়তে থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং ওয়েব কন্টেন্ট রাইটিং হাতে হাত মিলিয়ে চলে।
সবশেষে এটিই বলা যায় যে, সবসময় আপনার সাইট অ্যানালাইসিস করতে হবে। নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে কোন কোন এসইও কন্টেন্টস কাজ করছে, এবং কোনগুলি করছে না। সাফল্য ও প্রবৃদ্ধি মাপার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতিগুলি হল- পেইজ ভিউস, লিঙ্কস, কমেন্টস (ব্লগ পোষ্টের ক্ষেত্রে), সোশ্যাল শেয়ার (ফেসবুক লাইকস, শেয়ার, টুইটস ইত্যাদি)এবং কনভারশন রেটস।
আশা করা যায় এইসকল টিপস এবং ট্রিকস আপনাকে পারফেক্ট ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে সঠিক দিকনির্দেশনা দিবে।